ঢাকা , শুক্রবার, ২০২৫ জুলাই ০৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

কুমিল্লা সংবাদ

কুমিল্লার সড়কে ১০ মাসে ৪৭ জনের প্রাণহানি

রহমত খন্দকার পলাশ-
প্রকাশিত : রবিবার, ২০২১ নভেম্বর ২১, ০১:২৯ অপরাহ্ন
সড়ক দুর্ঘটনা

বাংলাদেশের লাইফলাইন খ্যাত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ কুমিল্লার বিভিন্ন আঞ্চলিক সড়কগুলোতে থেমে নেই সড়ক দুর্ঘটনা। এতে প্রতিদিন কেউ না কেউ আহত হচ্ছে, কেউ বরণ করছে পঙ্গুত্ব, আবার কেউ হারাচ্ছে মূল্যবান জীবন। ২০২১ সালে কুমিল্লা জেলাতে ফেব্রুয়ারীর ২০ তারিখ থেকে শুরু হয়ে নভেম্বর পর্যন্ত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ ঝরেছে ৪৭ জন মানুষের।
জানা যায়, এসব দুর্ঘটনার পেছনে বেশ কয়েকটি কারণ রয়েছে। সেগুলো হলঃ *যানবাহনগুলোর নিয়ন্ত্রণহীন গতি। *যানবাহনের চালকদের মুঠোফোনে কথা বলার প্রবণতা। *মহাসড়কে অবৈধভাবে সিএনজি অটোরিক্সার চলাচল। *যানবাহনগুলো একে অপরের সাথে পাল্লা দিয়ে মধ্যে ওভারটেকিং। *ফিটনেসবিহীন গাড়ির চলাচল। *যেখানে সেখানে যাত্রী উঠা-নামা করানো। 
বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে দুর্ঘটনার তথ্য গুলো জানা যায়-

ফেব্রুয়ারী মাসে ২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৩ জন
২০ ফেব্রুয়ারি সকালে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ছফুয়া এলাকায় ঢাকাগামী একটি লরি পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেলকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হন।
২৬ ফেব্রুয়ারি সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের আমজাদের বাজার এলাকায় কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় পিকআপ ভ্যানের হেলপার মনির হোসেন নিহত হয়। নিহত মনির বগুড়া সদর উপজেলার চরজপুর গ্রামের আবু তৈয়বের ছেলে। 
এপ্রিল মাসে ৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ১০ জন
৩ এপ্রিল দুপুরে নাঙ্গলকোট উপজেলার জোড় খেজুরগাছতলা এলাকায় দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী এমরান হোসেন নিহত হয়। সে উপজেলার উত্তর শাকতলী গ্রামের মোহাম্মদ আবুল কাশেমের ছেলে।
৪ এপ্রিল সকালে কুমিল্লা সদর পালপাড়া ব্রিজের দক্ষিণ মোড়ে একটি ট্রাক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন ও ঢাকা নেওয়ার পর আরো একজন মারা যায়। নিহতরা হলেন- কুমিল্লার চাঁনপুর এলাকার ফুল মিয়ার ছেলে হেলাল মিয়া (৬০), মকবুল হোসেনের ছেলে মতিন মিয়া (৬৫) ও ফোরন মিয়ার ছেলে আবদুল কাদের (৭০)।  
২০ এপ্রিল সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আটগ্রাম রাস্তার মাথায় ঢাকামুখী একটি লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাক ও পূর্ব দিক থেকে আসা মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ৩ জনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন-চট্টগ্রামের মিরেরশরাই উপজেলার করেরহাটের ট্রাকের হেলপার আলমগীর হোসেন (২৭), মোটরসাইকেল আরোহী চৌদ্দগ্রামের উনকোট গ্রামের রফিক মিয়ার ছেলে পেয়ার আহম্মেদ (৩৫) ও লরিচালক রাসেল (৩৮)।
২৪ এপ্রিল দুপুরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ড ভ্যান বের হতে গেলে পেছনের দিক থেকে আসা পিকআপটি কাভার্ড ভ্যানকে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই টিসিবির পণ্যের মালিক ফিরোজ আলম বাবু নিহত হন। বাবু নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার বাবুপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে।  
২৮ এপ্রিল চৌদ্দগ্রামের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নোয়াবাজার এলাকায় ঢাকাগামী দ্রুত গতির একটি মাইক্রোবাস একটি লরির পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের যাত্রী সজিব কুমার দাসের মৃত্যু হয়। নিহত সজিব কুমার দাস ফেনী সদরের মাস্টার পাড়ার তপন কুমার দাসের ছেলে।

জুন মাসে ২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৪ জন
১৮ জুন ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সুয়াগাজী ইউটার্নে ঢাকামুখী একটি বাস ইউটার্ন নেওয়ার সময় প্রাইভেটকারের সাথে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়। নিহতরা হলেন, ঢাকার নতুন বাড্ডা এলাকার মিরাজ হোসেন (১৮), রামপুরা এলাকার বেলাল হোসেন (৩৫) ও লক্ষীপুর জেলার হামন্দী এলাকার ফখরুল আলম দুলাল (৫২)। 
১৯ জুন মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার ছয়ঘরিয়া এলাকায় চট্টগ্রামগামী একটি ট্রাকের পেছনে অপর একটি ট্রাকের ধাক্কা দেয়। দুর্ঘটনার পর আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হেলপার ইস্রাফিলকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত ইস্রাফিল সাতক্ষীরা সদরের ভবেরকান্দা এলাকার বাসিন্দা।

জুলাই মাসে ২টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৬ জন
১৩ জুলাই সকালে কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের চরবাকর এলাকায় মুরাদনগরগামী একটি যাত্রীবাহী অটোরিকশাকে পেছন থেকে একটি পণ্যবাহী ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়। আহত দুই যাত্রীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক  তাদেরকে  মৃত ঘোষণা করেন। নিহত তিন ব্যক্তি হলেন- মুরাদনগর উপজেলার দারোরা গ্রামের মৃত বাচ্চু মিয়ার ছেলে আবুল কালাম (৪৫), একই উপজেলার রায়তলা গ্রামের লিটন মিয়ার স্ত্রী কামরুন্নাহার (৩০) ও ছালিয়াকান্দি গ্রামের বাবুল মিয়া (৪০)।
২৯ জুলাই সকালে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার হাড়িখোলা এলাকায় ঢাকাগামী একটি কাভার্ডভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে দাড়িয়ে থাকা বালু উত্তোলনকারী ট্রাক্টরকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই  দুই বালু শ্রমিক নিহত হন। এবং আহত অবস্থায় অপর জনকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন-হাড়িখোলা গ্রামের আবদুল জলিলের ছেলে বালু শ্রমিক নুরুল ইসলাম (৪০), রংপুরের আবদুল খালেকের ছেলে শ্রমিক ফয়জার রহমান (৪০) ও কাভার্ডভ্যানচালক লিটন (৪০)।
আগস্ট মাসে ৫টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৬জন
১২ আগস্ট কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার নানকরা এলাকায় লরিচাপায় মো. ফরহাদ হোসেন (২০) নামের এক মোটরসাইকেল অরোহী নিহত হয়। সে ওই উপজেলার চিওড়া ইউনিয়নের তেলিগ্রাম দক্ষিণপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে।
এবং ১২ আগস্ট দুপুরে কুমিল্লা নাঙ্গলকোট বাজার এলাকায় অটোরিকশার সঙ্গে তার মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের এক আরোহী স্কুলছাত্রের নিহত হয়। নিহত রাফি নাঙ্গলকোট উপজেলার মক্রবপুর ইউনিয়নের তুলাগাঁও গ্রামের মো. শাহজাহান সাজুর ছেলে। সে কুমিল্লা ইবনে তাইমিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
২৬ আগস্ট সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গোয়ালমথন এলাকায় সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশাকে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাক চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশায় থাকা দুই নারী মারা যান। নিহতরা হলেন- সদর দক্ষিণ উপজেলার কমলপুর গ্রামের তাসলিমা আক্তার (২৫) ও চৌদ্দগ্রাম উপজেলার শাহাপুর এলাকার গৃহবধূ মমতাজ আক্তার (২২)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবাশীষ চৌধুরী।  
৩০ আগস্ট সকালে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি সাহেব বাজার এলাকায় গাড়ি চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়। নিহত জাবেদ জেলার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল গ্রামের জলিল মুন্সির ছেলে।
৩১ আগস্ট দুপুরে কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম এলাকায় একটি লরি মোটরসাইকেলকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় মোটরসাইকেল আরোহীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। নিহত মোটরসাইকেল আরোহী জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম পদুয়া গ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে।

সেপ্টেম্বর মাসে ৩টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৭ জন
১১ সেপ্টেম্বর সকালে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে বুড়িচং উপজেলায় ময়নামতি এলাকায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে রিকশার ভাড়া পরিশোধ করছিলেন দুই যাত্রী। এ সময় সিলেট থেকে কক্সবাজারগামী পাথর বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রিকশাটিকে চাপা দিয়ে সড়কের পাশে উল্টে যায়। এতে রিকশাচালক ও ভাড়া পরিশোধকালীন দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। নিহতরা হলেন- রিকশাচালক বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের কালাকচুয়া এলাকার ইসমাঈল হোসেন সাগর (৩০), যাত্রী সিলেট মৌলভীবাজার জুড়ী এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে আব্দুল আহাদ (২৯) এবং আরেক যাত্রী একই এলাকার রজব আলীর ছেলে মো. ইউসুফ (২২)।
১৭ সেপ্টেম্বর দুপুরের কুমিল্লা সদর উপজেলার জালুয়াপাড়া এলাকায় কুমিল্লা শহরমুখী একটি অটোরিকশার সঙ্গে মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি ধাক্কা লাগে এতে মোটরসাইকেলের আরোহী নিহত হয়। নিহত হাসানের বাড়ি বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুর গ্রামের বাসিন্দা।
১৮ সেপ্টেম্বর সকালে কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের নাথেরপেটুয়া পুরার বাজার এলাকায় নোয়াখালী থেকে ঢাকাগামী হিমাচল পরিবহনের বাসটি বেপরোয়া গতিতে এসে প্রথমে একটি ট্রাক্টর, ইজিবাইক ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা দেয়। এরপর বাসটি যাত্রীবাহী ওই অটোরিকশাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজনের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেন- মনোহরগঞ্জের খিলা এলাকার রাফি (২৩), নোয়াখালীর চাটখিলের ইয়াসিন (৩২) ও নোয়াখালী সদরের পাচকুড়া এলাকার শাহাদাত হোসেন (২৩)।  আহত চারজন হলো- জেলার লাকসামের বাসিন্দা ও নিহত রাফির আত্মীয় মরিয়ম আক্তার তানহা (৭), নাবিল খান (১২), সিএনজি অটোরিকশার যাত্রী আবুল হোসেন (৬৫) ও বাসযাত্রী মাহাফিয়া বেগম (৪৩)।

অক্টোবর মাসে ৪টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৬ জন
১৬ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮ টায় কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি এলাকায় সিলেটগামী তিশা গোল্ডেন পরিবহনের একটি বাস বিপরীত দিক থেকে আসা সিএনজি চালিত একটি অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে অটোরিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই রুমি নিহত হন। পরে আহত অবস্থায় তার স্বামীকে ময়নামতি জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার  পর  আবু সাইদও নিহত হয়। নিহতরা আদর্শ সদর উপজেলার রত্নবতী এলাকার বাসিন্দা।
২৫ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলাধীন মাধাইয়া বাস স্টেশন এলাকায় ট্রাকচাপায় মো. সালমান (৮) নামে এক মাদ্রাসাছাত্র নিহত হয়। নিহত সালমান চান্দিনা উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের বসন্তপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।
৩০ অক্টোবর সকালে কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা কাঠেরপুল এলাকায় চট্টগ্রামমুখী দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস কাভার্ডভ্যানের পিছনে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের চালক তৌহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এবং যাত্রী ইব্রাহীমকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে নেওয়ার পর তিনিও মারা যায়। নিহতরা হলেন- মাইক্রোবাসের চালক কুমিল্লার লাকসাম উপজেলার তৌহিদুল ইসলাম (২৪) ও যাত্রী একই উপজেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার মো. ইব্রাহীম (২২)।
১ অক্টোবর পত্রিকা নিয়ে একটি মাইক্রোবাস চট্টগ্রামে যাচ্ছিল। পরে রাত ৩টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পদুয়ার বাজার এলাকায় মাইক্রোবাসটি পেছন থেকে একটি ট্রাককে ধাক্কা দেয়। এতে চালক লিটন গুরুত্বর হয়। অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় তিনি। নিহত লিটন মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ডুবচাইল গ্রামের বাসিন্দা।

নভেম্বর মাসে ৩টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে ৫ জন
২ নভেম্বর সকালে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের কাঁচি নামক এলাকায় ঢাকা অভিমুখী একুশে পরিবহন ও হিমাচল এক্সপ্রেস বাস একটি অপরটিকে ওভারটেক করার জন্য বেপরোয়া গতিতে চলছিল। এক পর্যায়ে একুশে পরিবহনের বাসটি পাশ কেটে সামনে যাওয়ার সময় রাস্তার এক পাশে থাকা সিএনজিচালিত একটি অটোরিকশাকে চাপ দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই তিনজন মারা যান। নিহতরা হলেন- কুয়েত প্রবাসী হারুনের মেয়ে কলেজছাত্রী সায়মুনা আক্তার (২০), আবদুল হাকিমের ছেলে রুহুল আমিন (৬৫) ও তার স্ত্রী সেলিনা আক্তার (৪৫)। তাদের সকলের বাড়ি জেলার মনোহরগঞ্জের শাকচাইল গ্রামে।  
১৩ নভেম্বর সকালে কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কের লালমাই অংশের মগবাড়ি এলাকায় চাঁদপুরগামী একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে ঢাকা অভিমুখী যাত্রীবাহী বাস আল আরাফাহ এক্সপ্রেসের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়।
১৮ নভেম্বর দুপুরে কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের কোরপাই এলাকায় মহাসড়ক পার হওয়ার সময় ঢাকাগামী একটি প্রাইভেটকার চাপায় আবদুল মজিদ নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়। সে চান্দিনা উপজেলার তুলাতলী গ্রামের বাসিন্দা।
 


মন্তব্য করুন

আরও খবর